অনিন্দিতা মণ্ডল
(৪)
সবচেয়ে পেছনের মহলে জীর্ণ দুটি ঘরে ও তার সঙ্গে লাগোয়া দালানে ঘরকন্না করে সায়নের এক দিদি। ছাদের সিঁড়ি অষ্টপ্রহর বন্ধ। ছাদ খারাপ হয়েছে অনেককাল। ও ছাদ এড়িয়ে সকলে ছাদ ব্যবহার করে। সায়নের মেজজ্যাঠার মেয়ে এই দিদি। একাই থাকে। ফি মাসে পোষ্ট অফিস থেকে টাকা আসে তার নামে। একা মেয়ে সেই আয়ে নিজেকে চালিয়ে নেয়। তখন শ্রী নতুন বউ। ঘোমটা টানা নতুন বউ। একদিন সামনের টগরের ঝোপ থেকে সেই মেয়ে ফুল তুলছিল। রান্নাঘরের সামনের জানলা দিয়ে দেখা যায় ঝোপটা। হঠাৎ শ্রী শুনতে পেল কারো গলা। “এই শুভা, এদিকে এয়েচিস কেন? অ্যাঁ? যা ভেতরে যা! সক্কাল বেলা অলুক্ষুণে মুক দেকা। মাগো কী হবে যে!” শ্রী দেখল শুভা কেমন সশব্দে হেসে উঠল। “সেজমা আজ জাওলা মাছ পাবে না, এই বলে দিলাম। তা ভালই হবে। রোজ রোজ ওই এক মাছ খেতে ভাল লাগে?” কথা বলতে বলতে শুভার চোখ পড়ল শ্রী’র চোখে। দুজনেই ফিক করে হেসে ফেলল। শুভা পায়ে পায়ে এসে দাঁড়াল জানলার কাছে। শ্রীর দিকে চেয়ে ভুরু তুলে বলল – “এই যে নতুন বউ, আমার সঙ্গে যেন কথা কোয়ো না। বারণ আছে। জানো তো?” শ্রী তখনও হাসছে। না সে জানে না। কেউ তাকে কিছু বারণ করেনি। কিছু বলেওনি। শুভার বলার ধরনে সে হেসে ফেলল। শুভা একটু অবাক হবার ভান করল – “ও, মা কেউ কিছু বলেনি তোমায়? ভারী আশ্চর্য তো? আচ্ছা, বেশ। তবে একদিন এসো আমার ঘরে। গল্প হবে। তুমি নাকি কলকাতার মেয়ে! অনেক কিছু জানো! গল্প শুনব।” এই সময়ে আবার সেই গলাটা শোনা গেল। “এই শুভা, ভেতরে গেলি? ওহ, কী কপাল। এখনই গোপাল আসবে। আর মুখপুড়ি ঠিক ওই খেনে দাঁড়িয়ে আছে।” শুভা যেতে যেতে শ্রীর দিকে ফিরে বলে যায়, “ও সেজকাকির গলা। সুপুত্তুরের জন্যে চোখে ঘুম নেই। এসো কিন্তু বউদি। এদের কথা শুনো না।” শ্রী সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে। যাবে বইকি! একা একা তার যে প্রাণ ওষ্ঠাগত এখানে!
আর কিছুদিন পর, শ্রীর আরও একটু আড়ষ্টতা কমেছে। সায়ন ছাড়াও বাবা মায়ের সঙ্গে বেশ আপন হয়ে কথা বলতে পারে। তখন একদিন দুপুরের খাওয়া হয়ে গেলে এঁটোকাটা ফেলতে পুকুরপাড়ের ঝোপের কাছে গিয়েছিল সে। শুভা হাত নাড়ল। “বউদি! এসো!” শ্রী হেসে মাথা নাড়ল। “হ্যাঁ, আসছি দাঁড়াও।” শাশুড়ি মাকে জিজ্ঞেস করল শ্রী – “মা, ওই যে পেছনের দিকে শুভাদিদি থাকে, আমাকে ডেকেছে গল্প করতে। আমি তো কোনওদিন তেমন করে কথা বলিনি। ভাবছি কী করি! বিয়ের সময় আবছা দেখে থাকব। মনে পড়ছে না।” সায়নের মায়ের রোগক্লিষ্ট মুখটায় কেমন যেন একরকমের বিষাদ খেলে যায়। তিনি বলেন – “যেতে পারো। শুভা ভালই। তবে বাড়ির আর পাড়ার লোকের ওকে নিয়ে খুব মাথা ব্যাথা। বেচারা মা বাপমরা মেয়ে। আর ওর দুর্ভাগ্য তো আর ও নিজে গড়েনি! তবু লোকের শুধু বানানো কথা। আমি আজ পর্যন্ত ওর খারাপ কিছু দেখিনি। তুমি যাবে যাও। তবে কেউ কিছু বললে বুঝে কথা বোলো।”
এমন জায়গায় একজন বন্ধু পাওয়া যাবে, এই ভেবেই শ্রী আনন্দে ডগমগ হয়ে ওঠে। যাক বাবা। আর কথা বলার সঙ্গীর অভাবে তাকে হাঁফিয়ে উঠতে হবে না।
সেদিন সে শুভার কাছে যাবে বলে পুকুর পেরিয়ে ও বাড়ির দালানের দিকে হাঁটছিল। হঠাৎ পুকুরের জলে খুব তোলপাড়। ভয় পেল শ্রী। কী জানি বাবা, কী আছে। সাপখোপ ছাড়া চোরডাকাতও তো থাকতে পারে! সে দৌড়ে পার হতে চাইল জায়গাটা। এখানে এমনিই পুকুর ধারের ঝুঁজকো আঁধারে দিনদুপুরেও মনে হয় সন্ধ্যে লেগেছে। বড় হয়ে ওঠা ফণীমনসার ঝোপ পেরোতে গিয়ে সে হোঁচট খায় আর কী। থামতেই হল। পুকুরটা এখন স্থির একদম। তার চারপাশে ঘিরে থাকা বড় বড় সুপুরি নারকেল গাছগুলোর ফাঁকে ফাঁকে তেলাকুচো আর জংলিলতার বাড়াবাড়ি জঙ্গল। যেন কোন আদিম অরণ্যে এসে পড়েছে সে। শ্রী কেমন ঘোর লাগা চোখে চেয়েছিল পুকুরের দিকে। অদ্ভুত! পুকুরের জল যেন জল নয়! কেমন রূপোলী রঙের তরল যেন! অথচ এমন সবুজ চারিদিকে, মাথার ওপরে এমন নীল আকাশ, জলের রঙ রূপোলী হবার কোনও উপায়ই তো নেই! হঠাৎ তাকে চমকে দিয়ে স্থির জলের মধ্যিখানে ভুস করে ভেসে উঠল শুভা। ওর চারিদিকে জলের বিরাট বৃত্তাকার ঢেউ জাগল। মাঝখানে জলস্তম্ভের মতো ভেসে উঠল। শ্রীর চোখে তখনও ঘোর। ওর মনে হলো শুভার এলোচুলে ঢাকা নিরাবরণ পিঠ আর ভিজে শরীরের নীচে একটা যেন মাছের লেজ! জলে ডানা ঝাপটাচ্ছে। আছড়াচ্ছে। আর জলে তাই উথালপাথাল। শ্রী নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুভা হেসে জল থেকে উঠে এলো। শ্রীর সামনে এসে বলল – “চলো বউদি, আমার ঘরে চলো।” শ্রী দেখল শুভার শরীরে লেপটে আছে একটা চন্দনরঙা শাড়ি। তাই জলে ভিজে মনে হচ্ছে ওর গায়ে যেন কিছু নেই। ওর শরীরে আর কোনও আশ্চর্য জিনিস তার চোখে পড়ল না।
শ্রী পেছন পেছন হাঁটতে লাগল। রোজ আসা যাওয়া বলে শুভা জানে কোথায় পা ফেলতে হবে। শুভা ততক্ষণে কথা শুরু করে দিয়েছে। “ছোটমা তোমাকে আসতে দিল? আমি তো ভাবছিলাম দেবে না।” শুভা হাসছে। শ্রীও হাসল। “কেন? দেবে না কেন? হ্যাঁ, বলতে পারো যে এতদিন পর তোমার সঙ্গে আলাপ হলো, সেটা অদ্ভুত। কিন্তু কী করব বলো। যাক গে, শেষ পর্যন্ত একটা গল্পের লোক পাওয়া গেলো সেটাই বেশ।” শুভা হাসে। “হ্যাঁ, সে ভাল হল। আমারও তেমন গল্পের লোক নেই।” শ্রী জানে। শুনেছে সায়নের মা বলেছেন মেয়েটা একদম একা। প্রথম থেকেই শুভা সম্পর্কে একটা কৌতূহল ছিলই, এখন আলাপ হয়ে ও বেশ তৃপ্ত বোধ করছে।
শুভা একা থাকে বটে, তবে ওর ঘর গেরস্থালি বেশ গুছোনো। শ্রী দেখছিল। আদ্যিকালের পালঙ্ক ঘিরে লেসের কাজের ছত্রিঝালর। ঢাকনা দেওয়া কৌচ কেদারা। সব বেশ যত্নে রাখা। তবে ঘরের যেখানে সেখানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। কড়িকাঠের কালো রঙের সাথে দিব্যি মানিয়ে গেছে দেওয়ালের ধুলো রঙ। তার মনে পড়ছিল শ্যামবাজারে তাদের বাড়ির কথা। এমনই তো পুরনো জীর্ণ সে বাড়িও। এমনই ভারী আসবাবে ভর্তি লাল মেঝের ঘর দালান। কিছুই তেমন তফাত নেই তো। ঠাকুমার ভারী খাটের সঙ্গে বেমানান দুটো সস্তা স্টিলের আলমারি আছে। বাবা কিনেছিল। দোকানের জিনিসপত্র থাকবে বলে। তফাত অন্দরে নেই। তফাত বাইরে। তাদের শ্যামবাজারে এমন পুকুর নেই। পুকুর খুঁজতে গেলে যেতে হবে হেদোয়। আর ঝোপ জঙ্গল? নাহ সেসব মোটেই নেই। শ্রী হাসল। “তোমার ঘর আর আমার বাপের বাড়ির ঘরদোরে তফাত নেই কোনও।”
আস্তে আস্তে দুজনে গল্পে মজে গেল।
সেদিন ফিরে আসার সময় শুভা এগিয়ে দিলো শ্রীকে। বলল – “একা আসবে না। আমাকে আওয়াজ দেবে। এই তো এ দালান আর ও দালান। আমি থাকব দাঁড়িয়ে।” শ্রী ভাবল এত অন্ধকার এদিকটায়! একা আসতে ভয় করবে। নির্জন, আগাছায় ভরা বাগানের মধ্যে পুকুরের ওধারে ওই ভাঙা মহলে পৌঁছতে সাহস লাগবে।
“বেশি যেও না ওদিকে। মেয়েটা ভাল, তবে নানারকম কথা বলে সবাই।” ফিরে আসার পর স্বাতী বললেন। এ কথায় আহত হয় শ্রী। স্বাতী তো অনুমতি দিয়েছিলেন! এখন আবার কী হল! “কেন মা? শুভাদিদি তো বেশ ভাল। হাতের কাজ কী ভাল! এত ভাল সূচের কাজ! কেমন ছত্রিঝালর করেছে। ঘরদোর তকতক করছে। ঘরে রং চটেছে ঠিক কিন্তু শুভাদিদির সব গুছোনো।”
স্বাতী দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। এখনকার মেয়ে কি বিশ্বাস করবে নাকি? শুভা যেদিকে চায় যাতে হাত দেয় তাই ভেস্তে যায়। নষ্ট হয়ে যায়। বড় একটা কুমড়োলতা মালি-বউ উমা তুলেছিল রান্নাঘরের দাওয়ার চালে। শুভার চাউনিতে সে গাছ শুকিয়ে গেছে। অবশ্য এসব তিনি তেমন বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু সেজদির আক্ষেপ শুনলে না বিশ্বাস করেও উপায় থাকে না। শুভার নাকি খারাপ স্বভাব। গোপালের যে কিচ্ছু হল না সেও তো শুভার জন্য। কবে নাকি বলেছিল, “মর মর, মরণ হয় না? শয়তান কোথাকার! জানি না ভেবেছিস? ছুকছুকে শয়তান একটা!” তার পর থেকেই গোপাল কেমন হয়ে গেল। জোয়ান ছেলে শুকিয়ে গেল। একমাত্র ছেলের জন্য সেজদির দুঃখটা স্বাতীর প্রাণে বাজে। হলেই বা জাঠতুতো খুড়তুতো ভাই বোন। সোমত্ত বয়সের ছেলেমেয়ে এক জায়গায় থাকলে দেহের স্বভাব যাবে কোথায়? শুভা দোষ দিলে কী হবে, সব দোষ কী গোপালের? শুভা ধোয়া?
সদর থেকে গলা ভেসে আসছে। দেবেনকে পাঠালেন স্বাতী। “যা, দুধটা নিয়ে নিগে যা।” কিন্তু দেবেন এসে ডাক দিল, “মা, অজয় আপনাকে ডাকছে।” ওঃ! কী যে জ্বালা! সদর অব্দি যেতে পায়ে লাগে। ককিয়ে ককিয়ে তবু হেঁটে যান। আজকের লোক তো নয় এরা। অজয়ের বাপ রামশরণ এ বাড়ির গরুর তদারক করত। সকালে এসেই দুধ দোয়ানো, গরুদের খেতে দেওয়া, গোয়াল নিকনো, সব। তখন স্বাতীরা সব জায়ে মিলে পোষের তীব্র শীতেও ভোরে পুকুরে ডুব দিতেন। রামশরণ বলত, “পাথরের বউমা আছে সব।” সেই রামশরণের ছেলে ওই অজয়। তা তারও চুলে পাক ধরেছে। এ বাড়ির গোয়াল কবেই শূন্য হয়ে গেছে। রামশরণও আর নেই। এখন অজয়ের নিজের গাইগরু। সে জাঁকিয়ে দুধের কারবার করে।
স্বাতী সদরের কাছে বড় ঘোমটা টেনে দাঁড়ালেন। “কী রে অজয়?” অজয় ঘাড় নীচু করে দাঁড়িয়ে। চোখ তুলে দেখার অভ্যেস নেই। মিনমিনে স্বরে বলল, “মাইজি, কালো গাই কালো বাছুর দিয়েছে। নেবেন? বাবুদের দয়ায় দুধ বেচি। আপনাদের সব গরু দিয়ে দিয়েছিলেন। আপনার শখ হয়েছে আবার রাখবেন। তাই বলতে এসেছি।”
স্বাতী হতবাক হয়ে গেছেন। তাঁর শখ? কে বলল? চলতে ফিরতে পারেন না! গরুর সঙ্গে গরু হতে হয়। এই শরীরে এই বয়সে আর পারেন? তিনি খেয়াল করেননি। কখন শ্রী এসেছে। “মা, নেবেন গরু? নিয়ে নিন না মা? কী ভাল!” স্বাতী ঠাণ্ডা চোখে ফিরে চান। “বউমা, তুমি সদরে এলে কেন? ভেতরে যাও। আমি আসছি।”
অভিমান হয় শ্রীর। কেন? সদরে গেলে কী হবে? মহাভারত অশুদ্ধ হবে? মুখ নীচু করে সে উঠোনে মেলে রাখা কাপড় টানে। ভাঁজ করে আলনায় রাখে। নিজের রাজ্যের কাজ পড়ে আছে। সারতে থাকে। দালানের জানলা দিয়ে চোখে পড়ে শুভা চুপ করে পুকুরপারে দাঁড়িয়ে। বেশ আছে শুভাদিদি। কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না। এত শাসন নেই, আদরও নেই। বাইরে থেকে গজগজ স্বর কাছে আসতে থাকে। “কে তোকে বলেছে আমি গরু পুষব? বাতের কষ্টে মলাম আর এ ছোঁড়া ঘরে গরু আনছে। লক্ষ্মী! আমি মরি, তারপর যত খুশি লক্ষ্মী আনিস।” দেবেন পিছে পিছে আসছে। মুখটা কালো। হয়ত গরু পেলে দুটো পয়সা রোজগারের ধান্দা করছিল সে। অতশত শ্রী জানে না। শুধু এইটুকু জানে যে দেবেনের ভদ্রকে দেশ। সেখানে বউ ছেলেপিলে আছে। এ বাড়ির মাইনেয় সংসারে সামান্যই সাশ্রয় হয়। তাই হয়ত গরুর কথা ভেবেছে। এই চৌহদ্দির মধ্যে গরু রাখার অনুমতি কে দেবে ওকে? স্বাতীর গলা আবার শোনা গেল। এবার লক্ষ দেবেন নয়। উগ্রস্বরে চিৎকার করছেন, “হ্যাঁ রে শুভা? সবসময় পুকুরে গা ডুবিয়ে বসে থাকিস কীসের জন্যে? একটু কি চোখের পাতা থাকতে নেই?”
শ্রী আবারও চমকায়। স্বাতী বড় কর্কশ। শুভাদিদি অবশ্য উত্তর দেয় না। মুচকি হাসে। শুভাকে সুন্দরীই বলা যায়। শ্রী ভাবে, একা সুন্দরী কন্যে নিজেকে রক্ষা করতে কত ছল আশ্রয় করে কে জানে? আর তখনই মনে পড়ে শুভাদিদি জলে নামলেই মাছ হয়ে যায়।
সেদিন সন্ধ্যেয় স্নেহময়কে শ্রী জিজ্ঞেস করেই ফেলল, “আচ্ছা বাবা? শুভাদিদিকে সবাই ওরকম করে কেন? আমাদের তো নিজেদের লোক। খারাপ বলে কেন? অপয়া বলে কেন?”
স্নেহময় একটু সময় নেন। ছোট সংসার থেকে এসেছে মেয়েটা। বড় পরিবারের এমন কথা বুঝবে কি? তারপর অগত্যা বলে ফেলেন, “শুভার বিয়ে হল না। অত সুন্দরী। কিন্তু মেজদা আর বউদি চোখ বুঁজলে ওর দায় কেউ নিল না।”
– “কেন? আমরা কেন নিইনি বাবা?”
– “আমরা সকলে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিছু শর্ত ছিল। শুভা মানল না।”
– “কী শর্ত বাবা?”
– “সে তোমাকে বলা সম্ভব হবে না। তুমি বাবুর কাছ থেকে শুনো।”
– “তাহলে শুভাদিদির চলে কী করে?”
– “ওর নামে টাকা আসে তো।”
– “কে পাঠায় বাবা?”
স্নেহময় চুপ করে গুরুদেবের ছবির দিকে চেয়ে থাকেন তারপর বলেন, “বাবু বলবে খন।”
(চলবে)…
(স্নেহময়ের নিজের লেখা কবিতা ছাড়া বাকি কবিতা কবি রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরীর কিছু কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।)




এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান