পোড়া পেট

নদে জেলার নবদ্বীপের চৈতন্য দেব পুরীতে এই রসগুল্লা খেয়ে মোহিত হয়ে গেছিলেন। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল মহাপ্রভুর এই মিষ্টির প্রতি দুর্বলতার কথা । শান্তিপুর ফুলিয়ার হারাধন ময়রা চলে গেলেন পুরীতে । মোটা মুটি, সেটা ১৮৬৪ সাল । বাংলার নব জাগরণের ( রেনেসাঁ) সময় । মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।

ফেরা

“ভালবাসা আসলে একটা প্রতিশ্রুতি, তন্ময়। যেটা দুজন মানুষ পরস্পরকে করে। আমাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা হচ্ছে – তুই নিজের মানুষের জীবনটাকেই অস্বীকার করে যাচ্ছিস, দৈনিক। আমার কাছে সিনেমা অমৃতের মতো ছিল। সেই অমৃত ভর্তি গ্লাসে চুমুক দিতে বলেছিলাম তোকে। বুঝিনি, যে সেটা তোর কাছে নার্কোটিক হয়ে দাঁড়াবে। তুই স্বেচ্ছায় মানুষ থেকে জড় পদার্থ হয়ে বাঁচতে চাস। জড় পদার্থের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। আমিও দেব না আর।

হাম্বা

বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম 'ও কলকাতা'য় শুনুন নতুন শ্রুতিনাটক 'হাম্বা' - রচনা অমল রায়।

তিন সত্যি

হঠাৎ আনমনেই তাকালেন পিছনের ঝাউবনের দিকে। সূর্যের শেষ আলো গায়ে লেগেছে গাছগুলোর। যেন সত্যি সত্যি অনেকগুলো মানুষ সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর সমুদ্রের হাওয়া খাচ্ছে। অনিলাভর মনে হয়, আচ্ছা সত্যি যদি মৃত্যুর পরে মানুষ এরকম গাছ হয়ে যায়!

হিমু মামা

হুমায়ুন আহমেদের বড়গল্প 'হিমুমামা' অবলম্বনে বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম 'ও কলকাতা'র উপস্থাপনা নতুন শ্রুতিনাটক। শুনুন আমাদের ওয়েবসাইটে অথবা আপনার পছন্দের পডকাস্ট প্লাটফর্মে।

আলো হৃদয় হরা

ঈশিতা ভাদুড়ি গদ্য ও কবিতা নিয়ে বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম 'ও কলকাতা'য় প্রকাশিত হল নতুন পডকাস্ট পর্ব, আলো হৃদয় হরা। সবাইকে শোনার ও মতামত দেওয়ার অনুরোধ রইল।

মধুমুরলী

একটা পুকুরের নাম মধুমুরলী? তাও আবার পলাশীর যুদ্ধেরও একশো বছর আগেকার? অবাক হয়েছিল প্রান্তর। একটা ফুডওয়াকে এসে জনা কুড়ি মানুষ তখন একত্রিত হয়েছিল ওই পুকুরের সামনে। সোশাল মিডিয়ার একটা জনপ্রিয় খাদ্যপ্রেমীদের গ্রুপ আয়োজন করেছিল এই ফুডওয়াক। বারাসাতের প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখা ও সেইসঙ্গে আড্ডা, আলাপ পর্ব আর দেদার খাওয়া দাওয়া। প্রান্তর ওই গ্রুপ মিট এ গিয়েছিল কারণ আজকাল তার পুরনো লেখালেখির ভূতটা আবার মাথাচাড়া দিয়েছে।

রথযাত্রা

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে শুনুন কবি কুমুদ্রঞ্জন মল্লিকের 'রথযাত্রা' আবৃত্তিতে জয়িতা বন্দোপাধ্যায়

আলো

সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া। ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক ঘন্টা সময়, ঝড়ের মত বাথরুম, রান্নাঘর, শোয়ার ঘরে দাপাদাপি করে একসময় ফ্ল্যাটের সিঁড়ি বেয়ে দুদ্দাড় করে নেমে, কাঁধে অফিসব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারপর অনেক সন্ধ্যায় আবার ফিরে আসা। এসে পশ্চিমের জানলায় এক কাপ চায়ের মেয়াদ হাতে বসা। বন্ধ বাড়িটার পায়ের কাছে প্রদীপটা আবার জ্বলে ওঠে। অম্লান বসে ভাবতে থাকে, কে জ্বালাল?

দুর্গা পুজোর একাল-সেকাল

দুর্গাপুজো কিন্তু এত জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। জনপ্রিয়তা বা বাংলার পালাপার্বণের জায়গায় পৌঁছল ইংরেজরা আসার পর। সত্যি কথা বলতে গেলে বাংলায় দুর্গাপুজোকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল কিন্তু ইংরেজরাই। এর একটা কারণও ছিল, বাংলার মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করা।

মানুষ হওয়া

স্বামীজি দৃপ্ত পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সঙ্গে সামান্য একটা লাঠি আর একটা ঝোলা। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে প্রথম সূর্যের আলো এসে ওঁর দেহ, মুখ আর গেরুয়া বসন সোনার রঙে মাখিয়ে দিচ্ছে। যেন আগুনের গোলা চলে যাচ্ছে লাল মাটি বেয়ে। যেন এই পৃথিবীর কেউ নন তিনি। এক কাজ শেষ, অন্য কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।

পৃষ্ঠা: 1 2

ভুনি ও কইমাছেরা

বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম 'ও কলকাতা'য় পূর্বপ্রকাশিত গল্প 'ভুনি ও কইমাছেরা' এখন অডিও স্টোরি হিসেবেও প্রকাশিত হল। গল্পটি পড়তে ও শুনতে দুইই পারবেন এই লিংক থেকে।

Blog at WordPress.com.

Up ↑