শতবর্ষ পেরোনো কল্লোল পত্রিকা 

প্রচলিত সাহিত্যরীতিকে অস্বীকার করে একটা নতুন কিছু করার জন্য কল্লোলের কলরোল। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাবে তা যথেষ্ট নয়। উৎসাহ ছিল যথেষ্ট কিন্তু অভাব ছিল অর্থের। তবু 'কল্লোল' বেরিয়েছে। সাড়ে তিন টাকা দিয়ে একটা ছোট প্রেস থেকে হ্যাণ্ডবিল ছাপানোর আগেই 'কল্লোল' ছাপা শুরু হয়েছে। দীনেশরঞ্জন লিখেছেন - "ইহার পূর্ব্বেই কিছু কিছু কপি প্রেসে ছাপিতে দেওয়া হয়। বিধাতার সাহায্যে ১৩৩০-এর ১লা বৈশাখ কল্লোল ছাপিয়া বাহির হইল।"

অদ্ভুত অডবুক

শুধুই কি মানুষ ভূত হয়? উঁহু। আরও অনেক কিছু হয়। যেমন ধরুন, এক ভদ্রলোক ৩৫ বছর ধরে একটি পাড়ার রকে বসতেন, এখন থাকেন অন্য পাড়ায়। সেই রকে গত ৩৫ বছর ধরে সকাল ৮টায় চা খেতেন, পেপারটি পড়ে সাইডে রাখতেন, একটি পেন তার ওপরে।

  ট্রামের কথা

এরপর পুনরায় ট্রাম চালু হয়, শিয়ালদা থেকে বউবাজার, সেখান থেকে ডালহৌসি হয়ে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত। এই ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তখন ট্রাম চলত। সেসময় ছিল এডওয়ার্ড লিটন-এর সময়কাল।  রবীন্দ্রনাথ তখন সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ করেছেন। কলকাতায় তখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, তাই ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলত।

শতবর্ষে শোভা সেন 

প্রথম স্কুল কলকাতায় হলেও ছাত্রীটির জন্ম কিন্তু কলকাতায় নয়। ১৯২৩-এর ১৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় ডাক্তার নৃপেন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন ছাত্রীটি। নাম শোভা সেনগুপ্ত। যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন তখন বিশ্বের পরিবেশে লেগেছে অন্য ঢেউ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক।

যমের বাড়ি কলকাতা

তবে বেশিরভাগ লোকে মরত কলেরায়, ম্যালেরিয়ায়, পেটের রোগে অথবা অজানা কোনো জ্বরে। এত রোগ ও রোগীর কারণে ডাক্তারেরও অভাব ছিল না। তবে দেশীয় লোকেদের চিকিৎসার জন্য ছিল কবরেজি, হাকিমি, ঝাড়ফুঁক, তন্ত্রমন্ত্র, তাবীজ কবচ এইসব। এতে রোগী বাঁচল কি মরল তাতে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এই সমস্ত চিকিৎসার প্রতিই বিশ্বাস ছিল অগাধ। 

পুরনো কলকাতার নাম রহস্য

এই বাগবাজারটা আসলে ছিল পেরিন সাহেবের সাজানো গোছানো বিস্তীর্ণ বাগান। এখানে সাহেব মেমরা এক সময় বৈকালিক ভ্রমণ করে বেড়াত। এখানে পেরিন সাহেব একটি বাজারও বসিয়েছিলেন। পেরিন সাহেবের বাগান ও বাজার এই দুইয়ে মিলে হয়েছে বাগবাজার। কাজেই বাগবাজারের নামের সাথে বাঘের কোনো সম্পর্ক নেই। 

পোড়া পেট

নদে জেলার নবদ্বীপের চৈতন্য দেব পুরীতে এই রসগুল্লা খেয়ে মোহিত হয়ে গেছিলেন। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল মহাপ্রভুর এই মিষ্টির প্রতি দুর্বলতার কথা । শান্তিপুর ফুলিয়ার হারাধন ময়রা চলে গেলেন পুরীতে । মোটা মুটি, সেটা ১৮৬৪ সাল । বাংলার নব জাগরণের ( রেনেসাঁ) সময় । মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।

দুর্গা পুজোর একাল-সেকাল

দুর্গাপুজো কিন্তু এত জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। জনপ্রিয়তা বা বাংলার পালাপার্বণের জায়গায় পৌঁছল ইংরেজরা আসার পর। সত্যি কথা বলতে গেলে বাংলায় দুর্গাপুজোকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল কিন্তু ইংরেজরাই। এর একটা কারণও ছিল, বাংলার মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করা।

Blog at WordPress.com.

Up ↑