ট্রামের কথা

এরপর পুনরায় ট্রাম চালু হয়, শিয়ালদা থেকে বউবাজার, সেখান থেকে ডালহৌসি হয়ে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত। এই ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তখন ট্রাম চলত। সেসময় ছিল এডওয়ার্ড লিটন-এর সময়কাল।  রবীন্দ্রনাথ তখন সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ করেছেন। কলকাতায় তখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, তাই ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলত।

যমের বাড়ি কলকাতা

তবে বেশিরভাগ লোকে মরত কলেরায়, ম্যালেরিয়ায়, পেটের রোগে অথবা অজানা কোনো জ্বরে। এত রোগ ও রোগীর কারণে ডাক্তারেরও অভাব ছিল না। তবে দেশীয় লোকেদের চিকিৎসার জন্য ছিল কবরেজি, হাকিমি, ঝাড়ফুঁক, তন্ত্রমন্ত্র, তাবীজ কবচ এইসব। এতে রোগী বাঁচল কি মরল তাতে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এই সমস্ত চিকিৎসার প্রতিই বিশ্বাস ছিল অগাধ। 

পুরনো কলকাতার নাম রহস্য

এই বাগবাজারটা আসলে ছিল পেরিন সাহেবের সাজানো গোছানো বিস্তীর্ণ বাগান। এখানে সাহেব মেমরা এক সময় বৈকালিক ভ্রমণ করে বেড়াত। এখানে পেরিন সাহেব একটি বাজারও বসিয়েছিলেন। পেরিন সাহেবের বাগান ও বাজার এই দুইয়ে মিলে হয়েছে বাগবাজার। কাজেই বাগবাজারের নামের সাথে বাঘের কোনো সম্পর্ক নেই। 

দুর্গা পুজোর একাল-সেকাল

দুর্গাপুজো কিন্তু এত জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। জনপ্রিয়তা বা বাংলার পালাপার্বণের জায়গায় পৌঁছল ইংরেজরা আসার পর। সত্যি কথা বলতে গেলে বাংলায় দুর্গাপুজোকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল কিন্তু ইংরেজরাই। এর একটা কারণও ছিল, বাংলার মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করা।

Blog at WordPress.com.

Up ↑