স্নেহময় দেখেছেন শ্রীয়ের কথার মধ্যে প্রচ্ছন্ন হয়েও কোথাও আদেশ লুকিয়ে নেই। স্নেহময় যেন শিশু। এমন করেই কথা বলে। ছাদের দিকের দরজার কাছে একবার গেলেন। কিন্তু শ্রী মিশুকে। স্নেহময় জানেন। অথচ সকলে কত ভেবেছিল। শহরের মেয়ে। এখানে এসে কত দেমাক দেখাবে! কলকাতার কলেজে পড়তে গিয়ে দেখেছেন। মফস্বলি কুটিলতা খুব বোঝে না তারা।
শতবর্ষ পেরোনো কল্লোল পত্রিকা
প্রচলিত সাহিত্যরীতিকে অস্বীকার করে একটা নতুন কিছু করার জন্য কল্লোলের কলরোল। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাবে তা যথেষ্ট নয়। উৎসাহ ছিল যথেষ্ট কিন্তু অভাব ছিল অর্থের। তবু 'কল্লোল' বেরিয়েছে। সাড়ে তিন টাকা দিয়ে একটা ছোট প্রেস থেকে হ্যাণ্ডবিল ছাপানোর আগেই 'কল্লোল' ছাপা শুরু হয়েছে। দীনেশরঞ্জন লিখেছেন - "ইহার পূর্ব্বেই কিছু কিছু কপি প্রেসে ছাপিতে দেওয়া হয়। বিধাতার সাহায্যে ১৩৩০-এর ১লা বৈশাখ কল্লোল ছাপিয়া বাহির হইল।"
অদ্ভুত অডবুক
শুধুই কি মানুষ ভূত হয়? উঁহু। আরও অনেক কিছু হয়। যেমন ধরুন, এক ভদ্রলোক ৩৫ বছর ধরে একটি পাড়ার রকে বসতেন, এখন থাকেন অন্য পাড়ায়। সেই রকে গত ৩৫ বছর ধরে সকাল ৮টায় চা খেতেন, পেপারটি পড়ে সাইডে রাখতেন, একটি পেন তার ওপরে।
গুড় -পাটালি
কথায় বলে সমুদ্র কিছুই লহে না, সমস্তই ফিরাইয়া দেয়। বঙ্গভঙ্গের সমুদ্র তরঙ্গের পুনরাঘাতে তাহাদিগের পিতাকে পশ্চিমের এই পারে ফিরাইয়া দিল বটে, কিন্তু সে অনেক পরে। ততদিনে তাহাদিগের জীবন সংগ্রামের কেঁচেগণ্ডূষ হইয়াছে। একটি অসহায়া নারী ও তাঁহার চারিটি ক্ষুদ্র শিশু।
কিউকেনহফ – রংমিলান্তির দেশে
ছোটবেলায় শুনেছিলাম যে গানটার শুটিং হয়েছিল নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড দেশে। সত্যি তো সিনেমার পর্দায় ভেসে ওঠা টিউলিপ ফুল সব থেকে ভাল হয় ওই দেশেই। এওতো ভূগোলের বইতে পড়া। যাই হোক, লটবহর সমেত ইউরোপ পৌছে খোজ নিলাম জায়গাটা আসলে কোথায়। জানতে পারলাম যে আসল জায়গাটি যেটির সন্ধান যশ চোপড়ার জহুরির চোখ করেছিল সেই জায়গাটির নাম “কিউকেনহফ”
লটারি
"তুমি আবার শুরু করেছ?" ঘড়িতে সবে আটটা সতের। চায়ের কাপটাতে মেজাজি চুমুক বসিয়ে খবরের কাগজখানা ওল্টানো শুরু করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি শ্রী নীলকন্ঠ ব্যানার্জি, ওরফে নীলুবাবু। এমন সময় পাকানো বলের মতো কিছু একটা জিনিস ঠকাস করে তার কোলের ওপর এসে পড়ায়, এমন চমকে উঠলেন যে আরেকটু হলেই গরম চা চলকে একসা হতো। চোখ তুলে দেখেন... Continue Reading →



