ট্রামের কথা

এরপর পুনরায় ট্রাম চালু হয়, শিয়ালদা থেকে বউবাজার, সেখান থেকে ডালহৌসি হয়ে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত। এই ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তখন ট্রাম চলত। সেসময় ছিল এডওয়ার্ড লিটন-এর সময়কাল।  রবীন্দ্রনাথ তখন সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ করেছেন। কলকাতায় তখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, তাই ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলত।

শতবর্ষে শোভা সেন 

প্রথম স্কুল কলকাতায় হলেও ছাত্রীটির জন্ম কিন্তু কলকাতায় নয়। ১৯২৩-এর ১৭ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় ডাক্তার নৃপেন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন ছাত্রীটি। নাম শোভা সেনগুপ্ত। যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন তখন বিশ্বের পরিবেশে লেগেছে অন্য ঢেউ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক।

যমের বাড়ি কলকাতা

তবে বেশিরভাগ লোকে মরত কলেরায়, ম্যালেরিয়ায়, পেটের রোগে অথবা অজানা কোনো জ্বরে। এত রোগ ও রোগীর কারণে ডাক্তারেরও অভাব ছিল না। তবে দেশীয় লোকেদের চিকিৎসার জন্য ছিল কবরেজি, হাকিমি, ঝাড়ফুঁক, তন্ত্রমন্ত্র, তাবীজ কবচ এইসব। এতে রোগী বাঁচল কি মরল তাতে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এই সমস্ত চিকিৎসার প্রতিই বিশ্বাস ছিল অগাধ। 

জুলে লাদাখ

লেহ্ থেকে অনেকটা দূরে রুক্ষ পাহাড়, ঊষর মরুপথ পার করে এখানে একটু চোখের আরাম। ভয়ঙ্কর শীত পেরিয়ে এখন চাষের খেত সবুজ। আঙুরলতা লতিয়ে আছে মাচায়। টুনি বালবের মত কমলা রঙের অ্যাপ্রিকট গাছে গাছে জ্বলজ্বল করে ঝুলছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের এই গ্রামে দেশভাগের রেখা রাতারাতি টানা হয়েছিল।

পোড়া পেট

নদে জেলার নবদ্বীপের চৈতন্য দেব পুরীতে এই রসগুল্লা খেয়ে মোহিত হয়ে গেছিলেন। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল মহাপ্রভুর এই মিষ্টির প্রতি দুর্বলতার কথা । শান্তিপুর ফুলিয়ার হারাধন ময়রা চলে গেলেন পুরীতে । মোটা মুটি, সেটা ১৮৬৪ সাল । বাংলার নব জাগরণের ( রেনেসাঁ) সময় । মূলত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নবজাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।

দুর্গা পুজোর একাল-সেকাল

দুর্গাপুজো কিন্তু এত জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। জনপ্রিয়তা বা বাংলার পালাপার্বণের জায়গায় পৌঁছল ইংরেজরা আসার পর। সত্যি কথা বলতে গেলে বাংলায় দুর্গাপুজোকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল কিন্তু ইংরেজরাই। এর একটা কারণও ছিল, বাংলার মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করা।

Blog at WordPress.com.

Up ↑