সুখের দিন বড্ড তাড়াতাড়ি বোধহয় কেটে যায়! যেদিন আমার বাড়িতে গোলাপী রঙের সামনে বাস্কেট দেওয়া লেডিবার্ড সাইকেলটা এল, খুশিতে আমাকে দেখিয়ে সাইকেলে চড়ে একপাক দিয়ে এল পুনম। তা দেখে পাড়ার রকে ফিসফিসিয়ে শব্দ উঠল - 'পাপা কি পরী।' বুকটা কেমন চিনচিন করে উঠল।
গুড় -পাটালি
কথায় বলে সমুদ্র কিছুই লহে না, সমস্তই ফিরাইয়া দেয়। বঙ্গভঙ্গের সমুদ্র তরঙ্গের পুনরাঘাতে তাহাদিগের পিতাকে পশ্চিমের এই পারে ফিরাইয়া দিল বটে, কিন্তু সে অনেক পরে। ততদিনে তাহাদিগের জীবন সংগ্রামের কেঁচেগণ্ডূষ হইয়াছে। একটি অসহায়া নারী ও তাঁহার চারিটি ক্ষুদ্র শিশু।
ফেরা
“ভালবাসা আসলে একটা প্রতিশ্রুতি, তন্ময়। যেটা দুজন মানুষ পরস্পরকে করে। আমাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা হচ্ছে – তুই নিজের মানুষের জীবনটাকেই অস্বীকার করে যাচ্ছিস, দৈনিক। আমার কাছে সিনেমা অমৃতের মতো ছিল। সেই অমৃত ভর্তি গ্লাসে চুমুক দিতে বলেছিলাম তোকে। বুঝিনি, যে সেটা তোর কাছে নার্কোটিক হয়ে দাঁড়াবে। তুই স্বেচ্ছায় মানুষ থেকে জড় পদার্থ হয়ে বাঁচতে চাস। জড় পদার্থের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। আমিও দেব না আর।
তিন সত্যি
হঠাৎ আনমনেই তাকালেন পিছনের ঝাউবনের দিকে। সূর্যের শেষ আলো গায়ে লেগেছে গাছগুলোর। যেন সত্যি সত্যি অনেকগুলো মানুষ সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর সমুদ্রের হাওয়া খাচ্ছে। অনিলাভর মনে হয়, আচ্ছা সত্যি যদি মৃত্যুর পরে মানুষ এরকম গাছ হয়ে যায়!
মধুমুরলী
একটা পুকুরের নাম মধুমুরলী? তাও আবার পলাশীর যুদ্ধেরও একশো বছর আগেকার? অবাক হয়েছিল প্রান্তর। একটা ফুডওয়াকে এসে জনা কুড়ি মানুষ তখন একত্রিত হয়েছিল ওই পুকুরের সামনে। সোশাল মিডিয়ার একটা জনপ্রিয় খাদ্যপ্রেমীদের গ্রুপ আয়োজন করেছিল এই ফুডওয়াক। বারাসাতের প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখা ও সেইসঙ্গে আড্ডা, আলাপ পর্ব আর দেদার খাওয়া দাওয়া। প্রান্তর ওই গ্রুপ মিট এ গিয়েছিল কারণ আজকাল তার পুরনো লেখালেখির ভূতটা আবার মাথাচাড়া দিয়েছে।
আলো
সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া। ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক ঘন্টা সময়, ঝড়ের মত বাথরুম, রান্নাঘর, শোয়ার ঘরে দাপাদাপি করে একসময় ফ্ল্যাটের সিঁড়ি বেয়ে দুদ্দাড় করে নেমে, কাঁধে অফিসব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারপর অনেক সন্ধ্যায় আবার ফিরে আসা। এসে পশ্চিমের জানলায় এক কাপ চায়ের মেয়াদ হাতে বসা। বন্ধ বাড়িটার পায়ের কাছে প্রদীপটা আবার জ্বলে ওঠে। অম্লান বসে ভাবতে থাকে, কে জ্বালাল?
মানুষ হওয়া
স্বামীজি দৃপ্ত পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। সঙ্গে সামান্য একটা লাঠি আর একটা ঝোলা। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে প্রথম সূর্যের আলো এসে ওঁর দেহ, মুখ আর গেরুয়া বসন সোনার রঙে মাখিয়ে দিচ্ছে। যেন আগুনের গোলা চলে যাচ্ছে লাল মাটি বেয়ে। যেন এই পৃথিবীর কেউ নন তিনি। এক কাজ শেষ, অন্য কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।
ভুনি ও কইমাছেরা
বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম 'ও কলকাতা'য় পূর্বপ্রকাশিত গল্প 'ভুনি ও কইমাছেরা' এখন অডিও স্টোরি হিসেবেও প্রকাশিত হল। গল্পটি পড়তে ও শুনতে দুইই পারবেন এই লিংক থেকে।
হিসাবের বাইরে
ছোটগল্প - লিখছেন প্রতিমা রায় এখন শুনুন অডিও স্টোরি হিসেবেও
বৃক্ষসাথী
ছোটগল্প বৃক্ষসাথী



